নগর সংবাদ।।নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মাদকের টাকার জন্য মাকে মারধর করায় বড় ভাইকে হত্যার ঘটনা ঘটে। পরে তাকে পুতে রেখে গুম করার তিন দিন পর মাটি খুঁড়ে নূর হোসেন শাকিল (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা, মা ও ভাইকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে, বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার ৬টার দিকে উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লালপুর গ্রামের আব্দুল করিম হাজী বাড়ির পুকুর পাড় থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হয়ে শাকিলকে হত্যার সেখানে পুতে রেখেছিল।
নিহত শাকিল (২৫) উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের আব্দুল করিম হাজী বাড়ির বাবুল হোসেনের ছেলে।
এছাড়া ঘটনায় আটকরা হলেন- নিহতের ছোট ভাই এমাম হোসেন, বাবা বাবুল হোসেন ও মা ফাতেমা বেগম।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের ভাই এমাম হোসেন জানান যে শাকিল মাদকাসক্ত ছিল। মাদক সেবনের টাকার জন্য গত শনিবার রাত ১০টার দিকে তিনি তার মা ফাতেমা বেগমকে মারধর করেন। এতে তার মা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে শাকিলকে তার ভাই এমাম হোসেনকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে বাবা বশির হোসেন বাবুল মিয়াসহ তারা রাতের আঁধারে মরদেহটি পুকুর পাড়ে মাটিচাপা দেন।
স্থানীয়রা জানান, শাকিল তার পরিবারের সদস্যদের ওপর প্রায়ই বিভিন্ন কারণে অত্যাচার করতেন। এসব ঘটনার জের ধরে তাদের পরিবারে কলহ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে হত্যা করে মরদেহ মাটিচাপা দেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত শনিবার পারিবারিক কলহের জের ধরে পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হয়ে শাকিলকে হত্যা করেন। এর পর বসতঘর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে নিহতের মরদেহ দাফন ছাড়া মাটিচাপা দেওয়া হয়। পরে বুধবার বিকেলে ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায়। এর পর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়।