। ১২ ই জুলাই বুধবার ,বেলা দুটোয়, কলকাতা প্রেসক্লাবে, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবং রাজ্যের যে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনারের ব্যর্থতার ফলে ,যে নিরীহ ৪৫ জন আজ পর্যন্ত মানুষ মারা গেছেন, ভোটকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকে আজ অব্দি ,খুন , রাহাজানি, রক্তাক্ত যেভাবে ঘটে চলেছে, আমরা তার ধিক্কার জানাই। আজ হারানো মানুষদের আর্তনাদ মায়েদের কণ্ঠে শুনতে পাচ্ছি, সমস্ত কিছুর জন্য দায়ী প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন, তারাই ষড়যন্ত্রে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। কেন কেন্দ্র বাহিনী থাকতেও ভোটকেন্দ্রে তাদের রাখা হয়নি বা দেওয়া হয়নি।, কেন তাদের মিষ্টি খাইয়ে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে।। কারণ একটাই লুটেরা লুট করার উদ্দেশ্যেই এবং নিরীহ মানুষদের উপর অত্যাচার করার উদ্দেশ্যেই এই পন্থা অবলম্বন করেছেন, কারণ যদি কেন্দ্র বাহিনী দেয়া হয় তাহলে লুটেরা লুট করতে পারবেনা লিও মানুষের উপর অত্যাচার করতে পারবেনা এবং গণতন্ত্র বোঝাই থাকবে , তাই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে রক্ত খেলায় মেতে উঠেছে ভোটের নামে, কারণ ভালোভাবে জানেন যদি সঠিকভাবে ভোট হয় তাহলে গ্রামবাংলায় একটি ভোটও পাবেন না। মানুষ বুঝতে শিখেছে , তাই দিদির রাজত্বে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে এবং মানুষকে দিয়ে মানুষ খুন করার পন্থা অবলম্বন করেছেন, শুধু তাই নয় যে সকল ভোটার নিশ্চিত ছিলেন যে তারা ভোটে জিতবেন ,সেখানেও সেই ভোটারদের উপর অত্যাচার করেছেন। এবং ভোটারদের মারধর করা হচ্ছে। শুধু ভোটারদের নয় প্রার্থীদেরকে পর্যন্ত মারধোর করা হয়েছে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয় না , কিন্তু এই অরাজকতা বেশিদিন চলবে না, আর যে সকল নিরীহ মানুষ মারা গেছেন তাদের সম্পূর্ণ দায়ভারগণ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে কারণ তিনি এই কুত্তা লীলার মূল নায়ক,। আর প্রশাসন কেউ আমরা বলি বেশিদিন এইভাবে চলবে না একদিন আপনাদের উপরেও এই ঝড় আসবে। যিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে বড় বড় কথা বলে এসেছিলেন, গণতন্ত্র আপনাদের অধিকার ,আপনারা নির্ভয়ে ভোট দিন ,সেই অভিষেক ব্যানার্জিকে আমরা বলতে চাই, এটা কি গণতন্ত্র না হত্যাতন্ত্র ,কেন নিরীহ মানুষদেরকে মারা হল, কেন ভোটের নামে রক্তপাত ,আর কেন প্রার্থীদের উপর হামলা , কারণ উনি জানেন এছাড়া আর পথ নাই , জেতা অসম্ভব , তাই গণতন্ত্রের নামে এইভাবে মানুষ খুন করা চলছে। তাই আমরা এইরকম পশ্চিমবঙ্গ চাই না সবার আগে মানুষের নিরাপত্তার কথা ভাবা হোক হিংসা বন্ধ হোক, তাই আজ পশ্চিমবঙ্গ সাহিত্য সংস্কৃতি ফোরাম প্রতিবাদে নেমেছে। আমাদের এই ফোরাম সবার জন্য সবাই এগিয়ে আসুন শঙ্খবদ্ধ হন এবং এই হিংসা ও দুর্নীতিকে মুক্ত করুন,। এক একসাথে শান্তি ফিরিয়ে আনুন আর যেন নতুন করে কোন মায়ের কোল না খালি হয়, কেউ যেন আর্তনাদ না করে,আতঙ্কে দিন না কাটায়, গর্জে উঠুন সবাই একসাথে। তাই আজ আমরা রাজ্যপালের কাছে লিখিত ডেপুটেশন দিচ্ছি। এর সাথে সাথে যে সকল জল্লাদ এই ধরনের কাজ ঘটিয়েছে ,এবং যারা ঘোটাচ্ছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হোক। প্রতিবাদ সভায় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন…..। চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী ,পদ্মশ্রী কাজী মাসুম আখতার, পদ্মশ্রী বিপিন গনত্র, জিতেন্দ্র তেওয়াড়ী, চিত্র পরিচালক সংঘমিত্রা চৌধুরী, বিমল শঙ্কর নন্দ এবং অনির্বাণ গাঙ্গুলী মহাশয়।। রিপোর্টার,,, শম্পা দাস ও সমরেশ রায়