মঙ্গলবার ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ২:৪৫
শিরোনামঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে “বিএনপি”। সিদ্ধিরগঞ্জে প্রতিবন্ধীদের মাঝে চাল বিতরণকরলো আধাঁরে আলো প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থা চৌহালীতে দুই হোটেল ব্যবসায়ীর জরিমানা সংসারের কাজ সামলে, মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে – রেখা সিংহ ২০২৫ এ যোগায় চ্যাম্পিয়ন গণসংহতি আন্দোলনের ৫৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল গণভোট কবে হবে তা ঠিক করার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর -অন্তর্বর্তী সরকার। আলোর দিশা মহিলা সমিতির জগদ্ধাত্রী পুজো “২০২৫”অনুষ্ঠিত। তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা বিএনপি আমরা যদি মাঠে নামি, তাতে সরকার টিকবে না-গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শ্রমিকের দুঃখ-দুর্দশা দূরীকরণে প্রচলিত শ্রমনীতি পরিবর্তন করতে জামায়াত বন্ধ পরিকর-শামসুজ্জামান হেলালী।

পাকা রশিদ ছাড়া পণ্য বেচা-কেনা নয় ১০ মার্চ থেকে

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: মার্চ, ৯, ২০২২, ১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
  • ২০৭ ০৯ বার দেখা হয়েছে

  1. নগর সংবাদ।।পাকা রশিদ ছাড়া পণ্য বেচা-কেনা নয় ১০ মার্চ থেকে ,

: বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) থেকে কোনো স্তরেই পাকা রশিদ ছাড়া পণ্য বেচা কেনা করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ঢাকার পাইকারি ও খুচরা দোকানি ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের নিয়ে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।

বৈঠকে মিলারদের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকায় বুধবার তাদের উপস্থিতিতে আরেক দফা আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সফিকুজ্জামান বলেন, খুচরা দোকানিরা বলে ডিলাররা দাম বাড়িয়ে দেয়। আবার ডিলারদের কাছে গেলে তারা বলে- মিল থেকে রেসনিং করে দেওয়া হচ্ছে। যে পরিমাণ ডিও বা এসও (সাপ্লাই অর্ডার) নেওয়া হচ্ছে সেই পরিমাণ পণ্য সময় মতো দেওয়া হচ্ছে না। এখানে একটা ব্লেইম গেম চলছে। খুচরা বলছে পাইকারি, পাইকারি বলছে ডিলাররা, আর ডিলাররা বলছে মিলারদের কথা।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে সব ধরনের গোয়েন্দা তথ্য আছে। কিন্তু এই মুহূর্তে যে পরিমাণ তেল আছে তাতে রোজা পর্যন্ত দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। কিন্তু বাজারে গল্প ছড়ানো হচ্ছে ‘স্টকে সমস্যা’। যুদ্ধ লেগেছে সেই ইউক্রেনে, সেটার গরম এখন বাজারে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। টোটাললি তারা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা এটা হতে দেব না।

তিনি আরও বলেন, কোনা একটা জায়গায় ঘাপলা হচ্ছে সেটা কিন্তু পরিষ্কার। ডিও নিয়ে বড় ধরনের একটা কাগজবিক্রির খেলা চলছে। তেলের বাজার গরম। তাই অনেকেই তেল নিয়ে তেলেসমতি খেলায় নেমেছেন। পাকা রশিদ থাকতে হবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে। রশিদ ছাড়া মালামাল কিনলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, দোকানিদের কাছে কোনো পাকা রশিদ থাকছে না। খুচরায় ধরছি, তারা বলছে পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনেছে। পাইকারের কাছে গেলে সে বলছে ডিলাররা বেশি দামে বিক্রি করছে। ডিলাররা বলছে মিলাররা বেশি দাম নিচ্ছে। কিন্তু আমরা পাকা ভাউচার পাইনি। বাজারে আমরা বেশি বেশি যাচ্ছি। আমরা কিন্তু ভালো ব্যবসায়ীদেরকে ডিস্টার্ব করতে যাচ্ছি না। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যাচ্ছি। সবকিছুর উদ্দেশ্য হচ্ছে যৌক্তিক দামে যেন বাজার চলে।

বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন মুদি দোকানি অভিযোগ করেন, পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪৭ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। এজন্য তারা কোনো রশিদও দিচ্ছেন না।

এ সময় মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন বাবুল বলেন, ডিলাররা দিনের পর দিন মিল গেটে অপেক্ষায় থেকেও তেল বুঝে পাচ্ছেন না। মিল থেকে কারসাজি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। এ কারণেই ডিলাররা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এখন দোকান মালিক সমিতি, মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি নিয়ে একটা কমিটি করে দেন। সেই কমিটি মিল গেটে পাহারায় থাকুক, আবার পাইকারি বাজারেও থাকুক। আমরা দেখতে চাই কারসাজিটা কোথায় হচ্ছে?

ব্যবসায়ীরা বলেন, সারাদেশে প্রতিদিন ২১ হাজার ড্রাম ভোজ্যতেলের প্রয়োজন হয়। আপনারা একটু বিশ্লেষণ করে দেখেন গত চার সপ্তাহে ওনারা মিল থেকে কত ড্রাম তেল বের করেছেন। তাহলেই প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে। এক ড্রামে ২০৪ লিটার তেল থাকার কথা থাকলেও অনেক সময় ১৮৬ কেজিও পাওয়া যায়।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যমন্ত্রণালয় ভোজ্যতেলের যে মূল্য নির্ধারণ করে তাতে, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪৩ টাকা এবং পাম তেল ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে সম্প্রতি বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের গায়ের মূল্য মুছে ফেলে তা প্রতি লিটার ২০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেলও বিক্রি করা হচ্ছে প্রতিলিটার ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকায়। সুপার পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

উল্লেখ্য, দেশের সাতটি মিলে প্রায় দুই লাখ টন পরিশোধিত ও অপরিশোধিত ভোজ্যতেল মজুদ রয়েছে। এর বাইরে আরও দুই লাখ টন তেলের এলসি খোলা আছে। বঙ্গোপসারে চট্টগ্রামের কাছাকাছি বন্দরে ভেড়ার অপেক্ষায় রয়েছে আরও দেড় লাখ টন অপরিশোধিত তেল। দেশে বছরে ২০ লাখ টন তেলের চাহিদা রয়েছে। সেই হিসেবে বর্তমান মজুত দিয়ে রোজার মাস স্বাভাবিকভাবেই পার করা যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell