আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেছেন, দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার আর কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে, সরকার শুধু নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে সহযোগিতা করবে।
শাজাহান খান বলেন, ‘জনগণ নিয়ে আন্দোলন করলে ভালো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো নাশকতা না করলে কিংবা কোনো ধরনের সন্ত্রাস না করে আন্দোলন করলে কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে অ্যাকশনে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। পুলিশ জনগণের, সরকারের না। প্রধানমন্ত্রী বলার পরেও যদি বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও নাশকতা করে তাহলে পুলিশ দেশ ও জনগণকে রক্ষা করবে। ‘
তিনি আরও বলেন, ‘খেলা মাঠেও হয় রাজনীতিতেও হয়। রাজনীতির খেলা মাঠে হলে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে হবে। তারা (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) মাঠে দাঁড়াবে, মাঠে যে দলের জনগণ বেশি হবে, সমর্থন বেশি হবে তারাই বিজয় লাভ করবে। আর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই রাজনীতির খেলা চলবেই। ‘
তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাজনীতির খেলায় পরাজিত হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে বিএনপি জনতার মঞ্চ ভেঙে দিয়েছিল। সেখানেও তারা খেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদের রাজনীতির খেলায় পরাজিত করেছি। সে খেলায় বিজয় লাভ করেছিল শেখ হাসিনা। ‘
শাজাহান খান বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনের মধ্যে আগামী নির্বাচনে একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। নির্বাচন যাতে বানচাল হয়, তারা (বিএনপি) বার বার বলছে নির্বাচন হতে দেবে না। বিএনপি এমন চেষ্টা করেছিল ২০১৪ ও ২০১৮ সালে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে, পারেনি। এবারও একই কথা বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হতে দেবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনউদ্দিন, ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের মহাসচিব ড. সেলিনা আখতারসহ অনেকেই।