রাজধানীতে পৃথক স্থানে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে তিনজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদের মধ্যে আসাদগেট থেকে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), সায়েদাবাদ থেকে মো. মাসুদ (৪০) ও ধানমন্ডি থেকে শমসেরকে (৪০) অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
পথচারীরা আসাদগেট থেকে জাহাঙ্গীর আলম, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে মাসুদ মিয়া ও ধানমন্ডি থেকে পুলিশ সদস্যরা শমসেরকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে আসেন।
জাহাঙ্গীরের ছেলে মো. আরাফাত জানান, তাদের বাসা লালবাগ আমলিগোলা এলাকায়। তার বাবা উত্তরায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। সকালে উত্তরা যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। এক পর্যায়ে জানতে পারেন তার বাবা আসাদগেট এলাকায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন। পরে পথচারীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তিনি জানান, পথচারীরা তাকে জানিয়েছেন, বাসের ভেতরে তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন। তবে তার মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। তার কাছ থেকে কী নিয়ে গেছে তা জানা যায়নি।
মাসুদের সহকর্মী রবিউল ইসলাম জানান, মাসুদের বাসা যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া এলাকায়। শ্যামপুর ঢাকা ম্যাচ এলাকায় একটি ডায়িং কারখানায় কাজ করেন। সকালে কাজে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকায় গিয়েছিলেন মাসুদ। সেখান থেকে বাসে করে কর্মস্থলে ফেরার পথে বাসের মধ্যে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন মাসুদ।
তিনি জানান, মাসুদের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন থেকে পথচারীদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে সায়েদাবাদ থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে ভর্তি করা হয়। তার কাছে কিছু টাকা-পয়সা ছিল। সেগুলো পাওয়া যায়নি।
এদিকে ধানমন্ডি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শফিউর রহমান জানান, ধানমন্ডি ১২/এ তাকওয়া মনজিদের পাশ থেকে শমসেরকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন। তার কাছ থেকে কিছু খোয়া গেছে কিনা জানা যায়নি। তাকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর পৃথক জায়গায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।