বুধবার (০১ জুন) গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা একটা ঘোষণা দিয়েছিলাম রূপকল্প-২০২১। ২০১০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত একটা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করি। অর্থাৎ সুপরিকল্পিত ভাবে আমরা এগিয়েছি। এর ফলে আমাদের উন্নয়নটা ত্বরান্বিত হয়েছে’।
‘আমরা এবারে ২০২১ থেকে ২০৪১ পর্যন্ত আরেকটি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। তারই ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আমরা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ’
সরকার গ্রাম থেকে উন্নয়ন করে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মূল কথাটা হলো উন্নয়নটা হবে তৃণমূল থেকে, গ্রাম থেকে’।
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের আসার পর থেকে একে একে সব জায়গায় ডিসিপ্লিন ফিরিয়ে এনেছি। দেশের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে সুফল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চিন্তাটা এ রকম ছিল না- বড় লোক আরও বড় লোক হবে। আর তার উচ্ছিষ্ট ঝরে পড়ে নিচে পৌঁছাবে। আমাদের লক্ষ্য একেবারে নিম্ন পর্যায় থেকে মানুষের আর্ত-সামাজিক উন্নতি আমরা করবো। ’
‘যার ফলে যেখানে ৪০ শতাংশ আমাদের দারিদ্র্য ছিল সেখানে আমরা ২০-এ নামিয়ে এনেছি। ’
দেশের দারিদ্র্যের হার আরও কমবে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এবার যে সেনসাস রিপোর্ট হবে আল্লাহর রহমতে আমাদের দারিদ্র্যের হার আরও কমবে। যদিও করোনা ভাইরাস আমাদের অর্থনীতির গতি অনেকটা শ্লথ করেছিল। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে প্রবৃদ্ধি আট ভাগ পর্যন্ত উপরে তুলেছিলাম। একটা পর্যায়ে এমনও গেছে এটা ৩.৫-এ নেমে এসেছিল। সেটা তিন মাসের জন্য। আমি বলেছিলাম তিন মাসের মধ্যে আমরা এর উত্তরণ ঘটাবো এবং ঘটাতে পেরেছি। আজ প্রায় সাতের কাছাকাছি আমরা পৌঁছে গেছি। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদাও পেয়েছি’।
সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।