কথিত অপহরণ ঘটনার ৮ দিন পর মঙ্গলবার (১২ জুলাই) মাদ্রাসা ছাত্রীর মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে অপহরণকারি পিতা-পুত্রকে আসামী করে বন্দর থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২০(৭)২২। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছে, ঘটনাটি প্রেম ঘটিত। যেহেতু মেয়েটি নাবালিকা, তাই অপহরণ মামলা হয়েছে।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার পদুঘর বাড়িখালি এলাকার সামসুদ্দিন বেপারী ১৩ বছরের মেয়ে তায়েবা আক্তার জয়া স্থানীয় মার্কাজুল উলুম আল মাদানীয়া মহিলা মাদ্রাসায় কুদুরতী শাখায় লেখাপড়া করে আসছে।
মাদ্রাসা ছাত্রী জয়া মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার সময় একই এলাকার আব্দুল হালিম মিয়ার ছেলে সোহাগ প্রায় সময়ে ওই ছাত্রীকে উক্তত্যসহ নানা ভাবে কুপ্রস্তাব দিত।
সোহাগের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ৩ জুলাই মাদ্রাসা ছাত্রী তায়েবা আক্তার জয়া তার পিতার বাড়ি থেকে তার বোনের বাড়িতে যাওয়ার পথে নবীগঞ্জ সাকিনস্থ কুশিয়ারা এলাকায় আসলে ওই সময় অপহরণকারি সোহাগ ও তার পিতা আব্দুল হালিম জোর পূর্বক উল্লেখিত মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
অপহরণ ঘটনার তিন দিন পর গত ৭ জুলাই দুপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী জয়া বিশেষ কৌশলে অপহরণকারিদের কবল থেকে পালিয়ে এসে বিস্তারিত ঘটনা তার পরিবারকে জানায়।
এ ঘটনায় অপহৃতা মাদ্রাসা ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে অপহরণকারি পিতা/পুত্রকে আসামীকে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ অপহরণ মামলার আসামী পিতা/পুত্রকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যহত রেখেছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছে প্রেমের সূত্র ধরে মেয়েটি ছেলের সাথে গিয়েছে। পরে পরিবারের চাপে মেয়েটি আবার পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে। কারণ বাবা-ছেলে এক সাথে একজন মেয়েকে অপহরণ করবে এটা অবিশ্বাস যোগ্য। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।