প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ বন্দরে মেহেজাবিন আক্তার(২০) নামের এক গৃহবধূকে অমানসিক নির্যাতনসহ ৫লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় তাঁর স্বামী চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে । গতকাল পুলিশ অভিযোগটি হাতে পেয়ে ঢাকা কেরানীগঞ্জ ওই গৃহবধুর স্বামী আব্দুল মোতালিবকে তার কর্মস্থল থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় আহত ও নির্যাতিত গৃহবধু মেহেজাবিন আক্তার বাদী হয়ে পাষন্ড স্বামী আব্দুল মোতালিবসহ ৩জনকে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করে। ধৃত আব্দুল মোতালিব বন্দর উপজেলা কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পূর্ব হাজীপুর এলাকার মৃত সামসুল হক খলিফার ছেলে। মেহেজাবিন আক্তারের পিতা হাসান আলী গনমাধ্যমকে জানায়,গত ৭মাস পূর্বে বন্দর উপজেলা কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পূর্ব হাজীপুর এলাকার মৃত সামসুল হক খলিফার ছেলে আব্দুল মোতালিব মিয়ার সাথে আমার মেয়ে মেহেজাবিন আক্তারের ইসলামিয়া শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আমার মেয়ে মেহেজাবিনের শ^শুরবাড়ির চাহিদা মোতাবেক ২লক্ষ ৫০হাজার টাকার আসবাবপত্র প্রদান করি। বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ে মেহেজাবিনকে আমার জামাতা মোতালিব,তার দুই ভাই মোশারফ ও আবু তালেবসহ শ^শুর বাড়ির লোকজন সামান্য বিষয় নিয়ে কথায় কথায় নানাভাবে ঝগড়ায় লিপ্ত হত। এমনকি তার স্বামী মোতালিব ব্যবসা করবে বলে আমার মেয়েকে পিত্রালয় থেকে আরো ৫লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে চাপ দেয়। আমার মেয়ে কোন টাকা আনতে পারবে না বলে জানালে তার স্বামী মোতালিবসহ শ^শুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যরা নির্যাতনের খড়ক চালাত। এরই পরিপেক্ষিতে গত ২১এপ্রিল আমার জামাতা মোতালেব মিয়া কেনাকেটা করার কথা বলিয়া নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বিপনীতে অযথা ঘুরাঘুরি করিয়া কেনাকাটা না করিয়া বন্দরে কল্যান্দি ব্রীজের সামনে চলন্ত অটোগাড়ি থেকে আমার মেয়ে মেহেজাবিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ফেলে দিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় আমার মেয়ে মেহেজাবিন হাটু,মূখে জখম সহ দাত ভেঙ্গে যায়। আমার মেয়ের চিৎকার ও এলাকাবাসীর সংবাদে আমি এসে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি।