রবিবার ১৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সকাল ৬:২৮
শিরোনামঃ
হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণমোটরসাইকেলে আগুন দেয় -দুর্বৃত্তরা। মানুষ আর বিশ্বাস করে না, ভোটও দেবে না জামায়াত ইসলামি কে -মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিভাবক সমাবেশে পুলিশ সুপারের বার্তা রাজধানীার আলোচিত “২৬ টুকরো লাশ”লোমমহর্ষক তথ্য বেড়োলো”পরকীয়ার কারণে হলেন ভয়ংকর খুনি। স্ত্রীর রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হলেন হিরো আলমস্ত্রীর রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হলেন হিরো আলম মডেল একাডেমী নারায়ণগঞ্জের ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আব্দুর রহমান ছেলে খুনের মামলা করেন-আসামি লিমন গ্রেফতার রাজধানীর এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন-জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ স্পষ্ট ব্যাখ্যা চায় এনসিপি। ফিলাটেলিক ডাকটিকিট প্রদর্শনী, “বঙ্গপেক্স ২০২৫” এর শুভ সূচনা করলেন, রাজ্যপাল ড: সি ভি আনন্দ বোস। থোরাসিক-ভাসকুলার দল ও ALCATI ক্লিনিকের সূচনা

বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি উজ্জল নক্ষত্র অভিনেতা রাজ্জাকের মৃত্যুবার্ষিকী। 

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: আগস্ট, ২২, ২০২৪, ২:০৫ পূর্বাহ্ণ
  • ২১৫ ০৯ বার দেখা হয়েছে

 

বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি উজ্জল নক্ষত্র অভিনেতা রাজ্জাকের মৃত্যুবার্ষিকী।

বাংলা সিনেমার কিংবদন্তিসম অভিনেতা রাজ্জাকের আজ (২১ আগস্ট) মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৭ সালের আজকের দিনে তিনি বহু মানুষের ভালোবাসা নিয়ে অনন্তের পথে পাড়ি জমিয়েছিলেন। রাজ্জাক পৃথিবীতে না থাকলেও বাংলার তিনি এক উজ্জল নক্ষত্র হয়ে আছেন।

যে সিনেমাগুলোর কারণে রাজ্জাক আজ অমর, সেগুলোর তালিকা দীর্ঘ। বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন রাজ্জাক। সেসবের মধ্যে ‘পিচ ঢালা পথ’, ‘দর্পচূর্ণ’, ‘মধুমিলন’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘আনারকলি’, ‘মৌ-চোর’, ‘রাজা সাহেব’, ‘বড় ভালো লোক ছিল’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘বদনাম’, ‘লাইলী মজনু’, ‘তালাক’, ‘অভিযান’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘বাবা কেন চাকর’ উল্লেখযোগ্য।

‘ছুটির ঘণ্টা’ সিনেমাটি শুধু নায়ক রাজ্জাকের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারেই সেরা সিনেমাই নয়, এটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্থান করে নেওয়া একটি চলচ্চিত্র। এটি ১৯৮০ সালে মুক্তি পায়। শিশুতোষ চলচ্চিত্র হিসেবেই এটি বেশি আলোচিত। তবে সব শ্রেণির মানুষ এটি পছন্দ করেছিলেন। এটি নির্মাণ করেছেন আজিজুর রহমান। স্কুলের বাথরুমে ঈদের ছুটি ঘোষণার দিন তালাবদ্ধ হয়ে আটকে পড়ে ১২ বছর বয়সের একজন ছাত্র। সেখানেই তার দীর্ঘ ১১ দিন কাটে। এমন করুণ গল্প নিয়ে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। সিনেমাটির প্রশংসা এখনো মানুষের মুখে শোনা যায়।

‘রংবাজ’: এ সিনেমায় তিনি রাজা চরিত্রে রূপদান করেছেন। তিনি একটি বস্তি এলাকার রংবাজ। এমন কোনো অপরাধ নেই যার সঙ্গে রাজা জড়িত নন। এ সিনেমা তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের আরেক কিংবদন্তি তারকা কবরী। সিনেমায় বস্তিরই মেয়ে মালার চরিত্রে তিনি রূপদান করেছেন। সিনেমায় রাজাকে মানে রাজ্জাককে তিনি খুব ভালোবাসেন। একদিন রাজা এক চাকুরিজীবির পকেট মারে। লোকটি সেদিনই কেবল বেতন পেয়ে বাসায় যাচ্ছিল। ফলে পুরো মাসে সে লোকটি বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়েন। পরে বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে জানা যায় রাজা একজন অসাধারণ মনের মানুষ, যিনি প্রতিটি মানুষকে যথাযথ সম্মান করতে জানেন। ভালোবাসতে জানেন।

‘আলোর মিছিল’: নারায়ণ ঘোষ মিতা ছিলেন নায়ক রাজ্জাকের প্রিয় নির্মাতাদের একজন। ‘আলোর মিছিল’ সিনেমাটি এ নির্মাতাই তৈরি করেছেন। এটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়। সিনেমাটিতে রাজ্জাকের পাশাপাশি আরও অভিনয় করেছেন ববিতা, ফারুক ও সুজাতা। এর সংগীত পরিচালনা করেন খান আতাউর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান। এতে রাজ্জাকের অভিনয় দর্শকদের হৃদয়ে আলাদাভাবে জায়গা তৈরি করে নেন। এ সিনেমার মাধ্যমে ববিতা প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পান। সিনেমায় সাবিনা ইয়াসমিনের কণ্ঠের ‘এই পৃথিবীর পরে’ গানটি তুমুল শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করে। গানটির কথা এখনো মানুষ মনে রেখেছে।

‘নীল অাকাশের নিচে’: এটি নায়ক রাজ্জাকের গান নির্ভর একটি সিনেমা। এ সিনেমা অধিকাংশ গান মানুষের মুখে মুখে মুখে ছিল। এ গানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘নীল আকাশের নীচে আমি’, ‘হেসে খেলে জীবনটা’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’ও ‘গান হয়ে এলে’। সিনেমাটি ১৯৬৯ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। ইসমাইল মোহাম্মদ সিমেনার কাহিনি লিখেছেন। এটি নির্মাণ করেছেন নারায়ণ ঘোষ মিতা। সিনেমাটি তৎকালীন একটি বাঙালি পরিবারের গল্পই তৈরি হয়েছে। এতে রাজ্জাকের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কবরী। এছাড়াও আনোয়ার হোসেন, রোজী সামাদসহ সেই সময়ের সিনেমার অনেক পরিচিত মুখ অভিনয় করেছেন।

যে সিনেমাগুলো তাকে করেছে অমর

‘জীবন থেকে নেয়া’: বিভিন্ন কারণে সিনেমাটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে নিয়েছে। এটি নির্মাণ করেছেন অমর চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান। সিনেমাটি জহির রায়হানের জীবনের শেষ চলচ্চিত্র। এটি ১৯৭০ সালে মুক্তি পায়। সিনেমাটিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে রূপকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। সিনেমাটির গল্প এদেশের মানুষকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করেছে। এতে রাজ্জাক ছাড়াও সুচন্দা, রোজী সামাদ, খান আতাউর রহমান, রওশন জামিল, আনোয়ারসহ আরও অনেকে অভিনয় করেছেন। সিনেমাটিতে দেশাত্মবোধ ও দেশপ্রেম সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

‘বড় ভালো লোক ছিলো’: এ সিনেমাটি নায়ক রাজ্জাক অভিনীত গান নির্ভর আরও একটি সিনেমা। এর প্রায় প্রত্যেকটি গাই মানুষের মন জয় করেছিল।‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুশ’ কিংবা ‘তোরা দেখ দেখরে চাহিয়া’ গানগুলোসহ এ সিনেমার সবগুলো গান এখনো মানুষ মনে রেখেছে। ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমাটি ১৯৮২ সালে মুক্তি পায়। এটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। সিনেমাটি রাজ্জাককে অভিনেতা হিসেবে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। এতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য রাজ্জাক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার লাভ করেছিলেন।

‘বাবা কেন চাকর’: এটি রাজ্জাকের ক্যারিয়ারে তো বটেই, বাংলা সিনেমার ইতিহাসে মাইলস্টোন সিনেমা হিসেবে বিবেচিত। এটি ১৯৯৭ সলে মুক্তি পায়। এতে রাজ্জাক ও ডলি জহুরের অভিনয় দেখে সিনেমা হলো থেকে তখন কাঁদতে কাঁদতে বের হয়েছিলেন অনেক দর্শক। সিনেমাটি ব্যাপক ব্যবসায়িক সফলতা লাভ করে। ‘বাবা কেন চাকর’ সিনেমায় খালিদ হাসান মিলুর গাওয়া ‘আমার মতো এত সুখী’ গানটিও শ্রোতার হৃদয়জুড়ে আজও বাজে। খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা এ গানের সংগীত পরিচালনা করেন আলাউদ্দীন আলী। রাজ্জাকের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশনের ব্যানারে সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell