মঙ্গলবার ২রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ১২:০১
শিরোনামঃ
হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী বেসরকারি ডক্টরের গলা কাটা লাশ উদ্ধার কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় স্কুল শিক্ষার্থী নিহত  নোয়াখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে হামলা, ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর নীলফামারীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে-প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। Press Club of Working Journalists from across the country participating in the 3rd conference of Mumbai Hold a conference with journalists – Dr. Shaikh Zakir should be honored. সিদ্ধিরগঞ্জে যুবককে হত্যার ঘটনায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সিনেমার পাশাপাশি প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন সবখানেই অভিনেত্রী অপি করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া এক পুলিশ কনস্টেবলকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার কুমিল্লায় বাড়ি থেকে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার

বিক্রি করে দেওয়া সেই কন্যাশিশুকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তার বাবা-মায়ের কাছে

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর, ১০, ২০২৪, ৯:১৩ অপরাহ্ণ
  • ১২০ ০৯ বার দেখা হয়েছে

 

 

 

বিক্রি করে দেওয়া সেই কন্যাশিশুকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তার বাবা-মায়ের কাছে

এক মাস পরে মায়ের কোলে ফিরল বাবার চিকিৎসার জন্য বিক্রি করে দেওয়া সেই শিশুটি।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া সেই কন্যাশিশুকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তার বাবা-মায়ের কাছে।

এসময় তৈরি হয় এক আবেগঘন মুহূর্ত।

 

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে কন্যাশিশুকে তার বাবা আব্দুর রহিম ও মা রোকেয়া বেগমের হাতে তুলে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এ সময় দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহাগ চন্দ্র সাহা, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল রায়হান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একরামুল হক আবির ও অন্তু খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রশাসন জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ দিনমজুরের চিকিৎসাসহ পরিবারটিকে পুনর্বাসনের সব ধরনের ব্যবস্থা করা হবে।

এর আগে রাতে শিশুটিকে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিতে গেলে সেখানে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষজন। তৈরি হয় এক আবেগঘন মুহূর্ত। শিশুটিকে কোলে নিয়ে কথা বলতে পারছিলেন না মমতাময়ী মা রোকেয়া বেগম। তার চোখ ছিল আনন্দ অশ্রুতে ছলছল। অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাচ্চা পেয়ে ভালো লাগছে।

গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আব্দুর রশিদ। জন্মের পর নিজ কন্যার মুখও দেখা হয়নি তার। সেই কন্যা শিশুকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত তিনি।

আব্দুর রশিদ বলেন, আগে ভালো ছিলাম না, এখন অনেক ভালো লাগছে। জন্ম হওয়ার পর আজকে প্রথম বাচ্চাকে দেখতে পাচ্ছি। যারা বাচ্চাটাকে এনে দিল তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সবচেয়ে বেশি কষ্ট করেছে ওর মা, বাবা হয়ে আমি ওর জন্য কিছু করতে পারিনি। কারণ আমি নিজেই এক বিপদের মধ্যে পড়ে গেছি। আপনারা বাচ্চাটাকে এনে দিয়েছেন এখন অনেক খুশি হলাম। আমার বাচ্চা আবার আমার কাছে ফিরে আসলো। বাচ্চা আমাদের কোলে এসেছে, যতই কষ্ট হোক বাচ্চাটাকে মানুষ করবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল রায়হান বলেন, মায়ের কাছে সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে পেরে ভালো লাগছে। এর চেয়ে মধুর স্মৃতি আর নেই। সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে তাদের সর্বোচ্চ সহায়তা করার। বিশেষ করে তাদের থাকার বিষয়টি নীতিমালার আওতায় আমরা তাদের পুনর্বাসন করবো। তাদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত সামাজিক সুরক্ষার বেষ্টনীর আওতায় পরিবারটিকে নিয়ে আসা হবে।

দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন বলেন, সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা সবাই এটাতে সংযুক্ত হয়ে মায়ের কাছে যেন সন্তান ফিরে আসে সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করি। সেখানে হৃদয়বিদারক ঘটনা থেকে আনন্দদায়ক ঘটনায় রূপান্তরিত হয়েছে। এতে সবাই খুশি হয়েছে, এটা সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল।

দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, বাবা-মায়ের ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের কারণে এই শিশুটিকে তাদের আত্মীয়ের কাছে তুলে দিয়েছিলেন মর্মে আমরা জানতে পেরেছি। আমাদের ছাত্র সমাজ, পুলিশ বিভাগ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের চেষ্টায় আবার শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। এতে ওই দম্পতি অনেক আনন্দিত। এটা আমাদের দায়িত্ব ছিল, সেই দায়িত্বটুকুই আমরা পালন করেছি। বাচ্চাটাকে বিক্রির টাকা  ফেরতের ব্যাপারে তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য যে অংশটুকু দিয়েছিল সেটি ফেরত দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট দুপুর। সন্তানসম্ভবা স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আব্দুর রশিদ যান দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে। স্ত্রীকে রেখে নিচে নামলে চলমান সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তার পা, পেট, নাভি ও পুরুষাঙ্গে গুলি লাগে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি ভয়ে বাসায় চলে যান।

পেটের গুলিবিদ্ধ স্থানে পচন ধরলে পেশায় দিনমজুর রশিদ ৮ আগস্ট দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। রাতেই হয় অস্ত্রোপচার, এরপর আইসিইউতে। পরদিন বাড়িতেই ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন স্ত্রী রোকেয়া বেগম।

এদিকে হাসপাতালে রশিদের চিকিৎসার সামগ্রিক খরচ আসে ৩৬ হাজার টাকা। এই অর্থ তার পরিবারের জন্য যে বোঝা! কেননা তার মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নেই। থাকেন অন্যের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে। উপায় না পেয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা খরচ পরিশোধ করতে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে গোপনে নিজের তিনদিনের শিশুকে অন্যের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন রশিদের স্ত্রী রোকেয়া।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell