৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাঙামাটিতে পর্যটক ভ্রমণ বন্ধ ছিল। ভ্রমণে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের পর শুক্রবার (০১ নভেম্বর) থেকে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আশানুরূপ পর্যটকের দেখা মিলেছে।
এতে আবারও পর্যটকমুখর হয়ে উঠেছে রাঙামাটির বিনোদন কেন্দ্রগুলো।
ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, পর্যটক আসতে শুরু করলে লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন তারা।
এদিকে সকাল থেকেই রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে পর্যটকদের আনাগোনা ছিল। দলে দলে পর্যটকদের ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। ঝুলন্ত সেতু দিয়ে হাঁটা-চলার পাশাপাশি অনেকেই কাপ্তাই হ্রদে নৌবিহার করেছেন। রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মোহিত পর্যটকরা জানান, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। অনেকদিন পর রাঙামাটিতে আসতে পেরে তারা খুশি।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মফিজুর রহমান বলেন, অনেক দিন পর রাঙামাটি আসতে পেরে ভালো লাগছে। কোনো ভয় লাগছে না। নিরাপত্তা নিয়ে খুশি।
নোয়াখালী থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক শারমিন আক্তার বলেন, সমতলের চেয়ে পাহাড়ি জেলা সুন্দর। মা-বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে এসেছি। ভালো লাগছে অনেক।
পর্যটন নৌযান ঘাটের ম্যানেজার মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, মাসখানেক পর্যটক আগমন বন্ধ থাকায় আমাদের আর্থিকভাবে ক্ষতি হয়েছে। আজ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় ট্যুরিস্ট বোট মালিক-শ্রমিকরাসহ সবাই খুশি।
রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রথম দিন হিসেবে আজ বেশ ভালোই পর্যটক সমাগম হয়েছে। সবাই ঝুলন্ত ব্রিজে যাচ্ছেন। সেখানে বোট নিয়ে পর্যটকরা কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণ করছেন। পর্যটকদের আগমন আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মামুন নামের এক যুবককে হত্যার পর খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা উপজেলা এবং রাঙামাটি শহরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে এই দুই জেলায় চারজন নিহত এবং বহুজন আহত হয়েছিলো। পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলায় গত ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একটানা ২৪ দিন পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছিলো স্থানীয় প্রশাসন।