আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করলো ওমান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নৈপুণ্য দেখিয়ে জয় দিয়ে শুরুটা রাঙালো তারা।
আয়ারল্যান্ড যদিও লড়াকু সংগ্রহ পায়, তবে শেষে গিয়ে হারতে হয় ৫ উইকেটে।
জিম্বাবুয়ের বুলাওয়ে অ্যাথলেটিক ক্লাব স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮১ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ১১ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে ওমান।
আইরিশদের উদ্বোধনী জুটি অবশ্য সফল হতে পারেনি। ২৩ রানে পল স্টার্লিংয়ের বিদায়ের পর ২০ রানে উইকেট হারান অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। তিনে নামা বালবার্নি ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর অবশ্য দলের হাল ধরেন হ্যারি টেক্টর। মাঝে লরকান টাকার করেন ২৬ রান। ছয়ে নামা জর্জ ডকরেলকে নিয়ে ৭৯ রানের জুটি গড়ে সংগ্রহ বাড়ান টেক্টর। ফিফটির দেখাও পান তিনি। তবে আর দুই রান যোগ করতেই হারান উইকেট।
একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালাতে থাকান ডকরেল। ৬৪ বলে ফিফটির দেখা পান তিনি। অপরপ্রান্তে এসে গ্যারেথ ডেলানি ২০ ও মার্ক অ্যাডায়ার ১৫ রান করে বিদায় নেন। তবে ডকরেল থাকেন অপরাজিত। তার ৯১ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চার ও ২ ছক্কায়। এছাড়া গ্রাহাম হিউম অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে।
রান তাড়ায় খেলতে নেমে শুরুতেই জতিন্দর সিংকে (১) হারায় ওমান। এরপর তিনে নামা আকিব ইলিয়াসের সঙ্গে ৯৪ রানের জুটি গড়েন ওপেনার কাশ্যপ প্রজাপতি। ৫৪ বলে ফিফটির দেখা পান তিনি। আর আকিবের লাগে ৪৭ বল। ৫২ রান করে তিনি বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। তবে জিসান মাকসুদ নেমে আবারও জুটি গড়েন প্রজাপতির সঙ্গে। ৬৩ রানের এই জুটি ভাঙে প্রজাপতি বিদায় নিলে। ৭২ রান করে থামে তার ইনিংস।
পাঁচে নেমে মাকসুদকে সঙ্গ দেন মোহাম্মদ নাদিম। ৫৮ বলে ফিফটির দেখা পান ওমান অধিনায়ক। এরপর ৯ রান যোগ করতেই হারান উইকেট। শেষদিকে আয়ান খান করেন ২১ রান। বাকিটা সম্পন্ন করে নেন নাদিম। ৫৩ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন শোয়াইব খান।