আজ ৯ই মার্চ, শনিবার ঠিক বিকেল পাঁচটায়, শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের সামনে, সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের উদ্যোগে এবং মহিলাদের পরিচালনায়, সুন্দর একটা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে, আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হলো,
উপস্থিত ছিলেন সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের সম্পাদক সঞ্জীব আচার্য এবং নিবেদিতা আচার্য সহ , উপস্থিত ছিলেন লীলাবতী মল্লিক ,মালঞ্চ সাহা ,কণিকা বিশ্বাস ,
বৈজন্তী নন্দন, তৃষ্ণা বসু, সহ অন্যান্যরা। এই অনুষ্ঠান শুরু হয় দুটি গণসংগীত এর মধ্য দিয়ে এবং নারীদের সম্মান জানাতে, প্রদীপ জ্বালিয়ে বরণের মধ্য দিয়ে ও গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে নারীদের সম্মান জানান এবং অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।
আগামী কাল অর্থাৎ ৮ই। মার্চ শিবরাত্রি থাকায়, মহিলারা শিবের ব্রত করায়, এই আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করতে পারেননি, তাই আজ তারা একসাথে মিলিত হয়ে নারী দিবস পালন করলেন এবং নারীদের সম্মান জানালেন। শুধু তাই নয়, একটি বিশ্বয় সৃষ্টি করলেন, বেশকিছু নারীদের সম্মান তুলে দিয়ে,
যাদের পরিবারের সবাই থেকেও পাশে নাই, সেই সকল মহিলাদের, যারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে , মনকে শক্ত করে, নিজেদের ছেলে মেয়েদের জীবন তৈরি করছেন ও ছেলে মেয়েদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন। মেয়েদের স্কুলে পড়াশোনা করাচ্ছেন, কেউ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েও নিজের মনকে শক্ত করে, সামান্য কাজ করে, নিজের পরিবারকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, কেউ নিজে পঙ্গু হয়েও ,কাউকে বুঝতে দেননি, সামান্য একটা চায়ের দোকান চালিয়ে নিজের মাকে সঙ্গে নিয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন,
মায়ের চিকিৎসা চালাচ্ছেন, কেউ আবার সারাদিন রোদ ,জল, ঝড়, বৃষ্টিতে ছুটে, ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের টিউশুনি পড়িয়ে নিজের সংসার চালাচ্ছেন, আবার যে সকল মহিলারা, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের পাশে থেকে দেখাশোনা করছেন, থ্যালাসিমিয়া সম্বন্ধে মানুষকে সজাগ করার চেষ্টা করছেন তাদের কেউ সম্মানিত করলেন। প্রায় কয়েকশো মহিলা বিভিন্ন জেলা থেকে আজ উপস্থিত হন মন চোখে আলোকিত করার জন্য, তাই নয় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও উপস্থিত হন, সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের কর্ণধার সঞ্জীব আচার্য বলেন,
আমি সবসময় এই সকল থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের পাশে সর্বদাই থাকার চেষ্টা করি, দু একটা কথাই বলব, কোন কিছু ঘটার আগে, যদি একবার এই থ্যালাসেমিয়া টেস্ট করে নেন আমার মনে হয়, অনেকটাই এই রোগ থেকে মুক্তি পাবে, আই বিবাহের আগে অতি অবশ্যই একবার টেস্ট করে নেয়া উচিত।
যাহাতে আরেকটি জীবন না নষ্ট হয়। অন্যদিকে নিবেদিতা আচার্য জানান, আমি মনে করি মহিলারা এখনো স্বাধীন নয়, কি কোন সময়েই দেখা যায় মহিলাদের উপর হয় অত্যাচার না হয় কোন কিছু কারণে তাদেরকে বিভ্রস্ত করা হচ্ছে, তাই যদি সকল মহিলারা একত্রিত হয়ে রুখে দাঁড়ান তাহলে একদিন নারী শক্তি স্বাধীনতা লাভ করবে,
তার সাথে সাথেই সবার উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলবো, থ্যালাসেমিয়া রোগ থেকে মুক্ত হওয়ার একটাই পথ, বিয়ের আগে একবার অন্তত থ্যালাসেমিয়া টেস্ট করে নিন। তাহাতে আপনিও যেমন সুস্থ জীবন যাপন করবেন, আর একজন ও সুস্থ থাকবে , ছেলে হোক বা মেয়ে হোক ,যাকে বিয়ে করবেন, তাই আজ নারী দিবসের মধ্য দিয়ে আমরা এই বার্তায় দিতে চাই সকলকে।