আর পাড়ায় পাড়ায় ক্লাবে ক্লাবে বেজে উঠবে ঢাকের বাদ্দী, চলছে ক্লাবে ক্লাবে তোর জোর, তার মধ্যেই থাকতে থাকতে বৃষ্টি, শিল্পীরাও অনেকটাই অসুবিধাই পড়ছেন। কুমারটুলীতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা, কারণ আর মহালয়া মাঝে কটা দিন। তার মধ্যেই প্রতিমার কাজ শেষ করতে হবে, কারণ ক্লাবের উদ্যোক্তারা প্রতিমা নিতে ছুটে আসবেন। আবার কিছু কিছু মহালয়ার আগেই প্রতিমা প্যান্ডেলে নিয়ে যাচ্ছেন।
কারণ অনেকেই প্রতিমার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডেকোরেটরেরা কাজ শুরু করেন। শিল্পী রাজন আলেম এবারে আমরা ভাল বাজার পেয়েছি কারণ কয়েকটি বেশ নতুন পুজো কমিটিও এবারে প্রতিমা অর্ডার দিয়েছেন। কিন্তু এতটাই বৃষ্টিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে দিনে রাত্রি কাজ করে শেষ করার চেষ্টা করছি। ওদিকে প্যান্ডেল কর্তৃপক্ষ রাও, জানালেন বৃষ্টির জন্য আমাদেরও খুব অসুবিধা হচ্ছে বারবার রং করছি বৃষ্টিতে ধুয়ে যাচ্ছে কি করে শেষ করব বুঝে উঠতে পারছিনা। কেউ আর বেশি সময় নাই আজ ৮ই অক্টোবর দুপুর তিনটে আমরা যখন কুমারটুলি তে প্রবেশ করি দেখি শিল্পীরা কথা বলার মত অবস্থায় নাই। তবু আমরা চেষ্টা করছি শিল্পীদের সাথে এই বছরের প্রতিমা নিয়ে, কিভাবে তারা এই বৃষ্টির মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন। এবং এবারে তারা কতগুলি প্রতিমা তৈরি করেছে, তবে এবারে বেশিরভাগই দেখা গেল সাবেকী আনায় ফিরে আসছে প্রতিমা, শিল্পীরাও তাই বললেন , এবারের থিম ও আর্ট এর চাইতে, সাবেকী আনার প্রতিমায় বেশি অর্ডার হয়েছে, হাতেগোনা কয়েকটা আর্ট এর ঠাকুর তৈরি হয়েছে।, একটা কথা জানালেন এবারে আমরা প্রতিমা মিনিমাম পাঁচ হাজার থেকে শুরু করে উপর পর্যন্ত দাম রয়েছে। তিরিশ হাজার 40000 থেকে আরও ঊর্ধ্বে। আর ডাকের গয়না ও জিনিসপত্রের দাম যে হারে বেড়েছে আমাদের প্রতিমার দাম বাড়াতে হচ্ছে কিছু করার নাই।। আর একটা বার্তা সমস্ত শিল্পীরাই দিলেন, পুজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে দর্শকরা ভালোভাবে পুজো কাটাক, আনন্দে কাটাক, ছোট শিশুর আনন্দ করুক, এটুকুই কামনা করি।