আজ ১৯শে মে রবিবার, আগামী ১লা জুন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের ভোট, ভোট উপলক্ষে দমদম লোকসভা কেন্দ্রের জাতীয় কংগ্রেস সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী এক সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, বললেন ১৩ বছর রাজ্য সরকার ,দশ বছর ধরে দিল্লির সরকার বিজেপি ,১৫ বছর ধরে সাংসদ ,এমপি ,জেলা পরিষদ, প্রতিবারই ১০০% সিকিউর ভোটে জেতা এটা নতুন কিছু নয়। হুমকি ধুমকি দিয়ে চলছে ভোট, আসন রক্ষা। অথচ রাজ্যে ভালো কিছু কাজ হয়নি, চতুর্দিকে শুধু দুর্নীতি। আর চলছে একের পর এক প্রকল্প মানুষকে ভাওতা দেওয়ার কাজ, ভোট আসলেই তাদেরকে বলেন তৃণমূল যদি না আসে তাহলে সমস্ত প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে। সে লক্ষ্মীর ভান্ডার হোক আর যেই হোক। এটা আরেক ধরনের চক্রান্ত ভোটে জেতার ,মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট নেওয়া জানালেন সাংবাদিকদের, আর চাইতে উনি মমতা ভান্ডার নাম দিতে পারতেন, সি পি আই এম রা এসব করে না, গ্রামের মানুষকে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই কাজ ছিল। জমির অধিকার, কাজের অধিকার দেওয়াই ছিল বামপন্থীর কাজ। আমরা মানুষকে গ্যারান্টি দিতাম, এবং লিমিটের মধ্যে চলতাম, ফ্ল্যাটের দালালি টাকা,চাকরি বিক্রির টাকায় সরকার চলতো না। আমারে সবকিছু চলতো কর্মীদের টাকায় নেতারা। আর প্রকল্প চলে সরকারের টাকায়, ব্যক্তিগত টাকায় প্রকল্প চলে না, আর কালীঘাটের টাকায় লক্ষী ভান্ডার চলেনা , ভাই কথায় কথায় হুমকি দেন যদি জিততে না পারে তাহলে সমস্ত বন্ধ হয়ে যাবে। এটা মানুষকে ভয় দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়। আরো প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর দেন, শিক্ষা দপ্তর ও স্বাস্থ্য দপ্তর নিয়ে, বলেন আছেটা কি এই সরকারের রাজত্বে, ৮ হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে, স্বাস্থ্য দপ্তর টলটল করছে। পরিষেবা মানুষ পাচ্ছে না। ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা বন্ধ হতে চলেছে অথচ এই সরকার ২১ হাজার মদের দোকান খোলার লাইসেন্স দিয়েছেন। এর থেকে কি বোঝা যায়, সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবে না ,অন্য কিছুনিয়ে, এইভাবে সরকার চলতে থাকলে সমস্ত কিছু বন্ধ হয়ে যাবে, সাধারণ মানুষ আরো দুর্ভোগে পড়বেন, আরো একটি বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করলেন তিনি বলেন 35 টি ফ্ল্যাট বিক্রি করার টাকায় ৫০০ টাকা করে সাধারণ মানুষকে দিচ্ছেন। তাই বন্ধ করে দেবে বলে ভয় দেখাচ্ছেন, যে ভোটে না জিতলে লক্ষী ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে, তাই সাধারণ মানুষের এবার বিবেচনা করার দিন এসেছে, কারণ মানুষই পারেন বদলাতে, চাই ৫০০ টাকা না সঠিক পরিষেবা, অন্যায়ের প্রতিবাদ, তাই এবারের লোকসভা ভোট উনারাই ঠিক করবেন কাকে নির্বাচিত করবেন, আর একটা বিষয় বিশ্লেষণ করলেন এ রাজ্যে যে দলের যে টিকিট না পায় চলে যায় অন্য দলে। যা সিপিআইএম করে না। এই ভাবি একের পর এক প্রশ্নের উত্তর ছুড়ে দিলেন সাংবাদিক বন্ধুদের। আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে।