সাফ চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী নারী ফুটবলাররা বিমানবন্দরে আসার পর তাদের নিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে পুরো দেশের মানুষ। ছাদখোলা বাসে করে বিমানবন্দর থেকে রাজকীয় সংবর্ধনা দিয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বাফুফে ভবনে। কিন্তু এরই মাঝে ঘটে দুঃখজনক ঘটনা। বিমানবন্দরে ভিড়ের সুযোগে দুই নারী ফুটবলার কৃষ্ণা রানী সরকার ও শামসুন্নাহার সিনিয়রের ডলার চুরির ঘটনা ঘটেছে।
আনন্দ আর উল্লাসের মাঝে প্রথমে ঘটনাটি টের পায়নি কেউ। পরে নিজেদের লাগেজ খুলতে গিয়েই দেখা গেলো, ডলার চুরির বিষয়টি। সাফজয়ী দুই নারী ফুটবলারের ডলার চুরির ঘটনায় আজ দুপুরে মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) লিগ্যাল উইং।
শুধু মতিঝিল থানায়ই নয়, বিমানবন্দর থানায়ও সাধারণ ডায়েরি করার প্রক্রিয়া চলছে বলে বাফুফে ভবনে এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন সেক্রেটারি আবু নাইম সোহাগ।
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি এবং বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি করার প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে বাফুফে লিগ্যাল ডিপার্টমেন্টের লোকেরা কাজ করছে।’
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ডলার চুরি ঘটনার যদি কোনো প্রমাণ না পাওয়া যায়, তাহলে আমরা নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করবো। ঘটনাটা সেখানে ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য তাদেরকে অনুরোধ জানাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি দুই ফুটবলারের খোয়া যাওয়া ডলার উদ্ধার করা না যায়, তাহলে আমরা সমপরিমাণ অর্থ বাফুফের ফান্ড থেকে তাদেরকে দিয়ে দেবো।’
এদিকে বিমানবন্দরে কৃষ্ণা রানী সরকার এবং সামসুন্নাহার সিনিয়রের ডলার চুরির ঘটনায় চোর ধরতে মাঠে নেমেছে বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা সংস্থা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক ইউনিট, এপিবিএন ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)
তবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বিমানবন্দরে নারী ফুটবলারদের লাগেজ চুরির প্রমাণ পায়নি।
জানা গেছে, কৃষ্ণার লাগেজের তালা ভেঙে ৯০০ মার্কিন ডলার ও ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। অন্যদিকে শামসুন্নাহারের লাগেজ কেটে নিয়েছে ৪০০ মার্কিন ডলার। এর পাশাপাশি কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া গেছে এই দুই ফুটবলারের।