বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় পুলিশ।
গ্রেফতাররা পিকআপ নিয়ে বিভিন্ন জেলায় গরু চুরি ও ডাকাতি করতেন। তাদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় গরু চুরি, ডাকাতি ও মাদকের ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভুঁঞা।
গ্রেফতাররা হলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার আ. মুন্নাসের ছেলে রাজিব হাসান সবুজ (৩০), হোসেনপুর উপজেলার বিনত আলীর ছেলে দ্বীন ইসলাম (২৮), ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার জসিম উদ্দিনের ছেলে কাইয়ুম (৪২), নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার মো. করিমের ছেলে খাইরুল ইসলাম (২২) ও গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার নাহিদ হোসেন (২৫)।
ময়মনসিংহে গরু চুরি মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ((ডিবি)। এসময় তাদের কাছ থেকে সাত গরু ও দুটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সোমবার (২৯ মে) গভীর রাতে জেলার ভালুকা উপজেলার বেলেজিং ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্টে ডেইরি ফার্মের দেওয়াল ভেঙে ১০টি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরদিন ভালুকা মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন বেলেজিং ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্টের কেয়ারটেকার আলাল উদ্দিন। ওই মামলায় বুধবার (৩১ মে) জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, বগুড়া, গাজীপুরের কাপাসিয়া ও ময়মনসিংহের ভালুকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভুঁঞা জানান, গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তারা সবাই চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। সংঘবদ্ধভাবে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে চুরি করে আসছে।
তিনি আরও জানান, ভালুকায় চুরিতে নেতৃত্বদানকারী রাজীব হাসান সবুজ ঘটনার দুদিন আগে একটি গরু চুরি মামলায় কিশোরগঞ্জ আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান।