মাদ্রাসার জমি আত্মসাৎ কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ
মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারীর সদর উপজেলার কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আজর উদ্দিন ফোরকানিয়া মাদ্রাসার প্রায় সাড়ে তিন একর জমি থাকার সত্বেও মাদ্রাসা ভবনের বেহাল দশা দীর্ঘদিন থেকে মাদ্রাসার সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, মাদ্রাসা কমিটির বিরুদ্ধে ওয়াক সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা করে আত্মসাধের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় জনগণ এবং জমিদাতার সহযোগীতায় নির্মান করা হয় উত্তর বালাপাড়া বরকতিয়া জামে মসজিদসংলগ্ন আজর উদ্দিন ফোরকানিয়া মাদ্রাসা। তৎকালিন সময়ে ওই মাদ্রাসার নামে ৩.৫০ একর জমি দান করেন আজর উদ্দিন, তখন থেকেই মাদ্রাসাটি চালু ছিল জমি দাতা মারা যাওয়ার পর ইয়াকুব আলী,ইদ্রিস আলী, ইউনুস আলী, ইসমাইল হোসেন, ইয়াসিন আলী ,মিজানুর রহমান, দাতার ওয়ারিশ সূত্রে মাদ্রাসার ওয়াকফ সম্পত্তি মাদ্রাসা পরিচালনা করার শর্তে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। পরর্বতীতে তৎকালীন মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত দখলকৃত জমির আয় আত্মসা করছেন জমিদাতার ওয়ারিশ বর্গ। অনেক বছর আগে নির্মিত মাদ্রাসাটি সংস্কারের অভাবে টিনের চালাও খুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং ইট সহ দরজা খুলে নিয়ে গেছেন বলে জানান এলাকাবাসী। মাদ্রাসাতে আগে লেখাপড়া হলেও বর্তমানে সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। একজন শিক্ষক পর্যন্ত নিযুক্ত রাখা হয়নি। জমিদাতার প্রভাবশালী ওয়ারিশ বর্গ মাদ্রাসার প্রায় ৩.৫০ একর জমি অবৈধভাবে জবরদখলে রেখেছে যার বাৎসরিক আয় প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। স্থানীয় মুছল্লীরা প্রতিবাদ জানালে তাদের বিভিন্ন মামলার ভয়ভীতি দেখায়। স্থানীয় মসজিদ কমিটির কার্যকারী সদস্য জামিউল সরকার জানান শুক্রবার জুমার নামাজের পরে মাদ্রাসা কমিটির জমিদাতা গনকে আলোচনার জন্য ডাকলে এক পর্যায়ে তারা তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে এবং আমাদের মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং সদস্যদের মারার জন্য ছুটে আসে এলাকার কিছু মানুষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তা নাহলে আজকে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ হতো। উত্তর বালাপাড়া বরকতিয়া জামে মসজিদ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওয়াকফ সম্পত্তি যারা অবৈধভাবে আত্মসাৎ করতেছে তাদের হাত থেকে মাদ্রাসার জমি উদ্ধারের জন্য ওয়াকফ বোর্ড ও দুদকের সহযোগীতা চেয়ে আবেদন করার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরো বলেন আমরা আমাদের এলাকাবাসীর একটাই দাবি মাদ্রাসাটি আমরা যেভাবে ওই মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছি সেভাবে যেন আগের মত চালু হয় এবং সেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা ওই মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতে পারে। এ বিষয়ে কুন্দপুকুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান বলেন, মাদ্রাসার বেহালদশা। মাদ্রাসার জমি থাকা সর্ত্বেও জমির দাতার ওয়ারিশ বর্গ ভোগদখল করে যাচ্ছে বলে আমার নিকট অভিযোগ আছে।