খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় সাঁওতাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম দীর্ঘদিন ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন। শনিবার ভোরে (১৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, মায়ের মৃত্যুতে সুমাইয়ার অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনসারুল করিম সেখানে ছুটে যান। তিনি সুমাইয়াকে পরীক্ষা দিতে উৎসাহ দেন। পরে নিজের গাড়িতে করে তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন।
সুমাইয়া পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী। পানছড়ি সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বেলি চাকমা বলেন, পরীক্ষার সময় সুমাইয়ার প্রতি আমি বিশেষ নজর রেখেছিলাম। সে কোনো রকম অসুবিধা ছাড়াই পরীক্ষা দিয়েছে।
পানছড়ি থানার ওসি আনচারুল করিম বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। এই মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী। আজকেই তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মেয়েটা হাসপাতালে ছিল। আমি হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটিকে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় নিজের গাড়িতে তুলি। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৫ মিনিট পর কেন্দ্রে পৌঁছাই। তাকে পরীক্ষার টেবিলে নিজেই বসিয়ে দিয়ে আসি।
এদিকে দুপুরে স্থানীয় কবরস্থানে ফাতেমা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়।