‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানের ডায়াসে ‘মুজিববর্ষ’ বানানে ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছে কর্তৃপক্ষ । শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম এ তথ্য জানান। দলটির সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটা মানুষ যখন তার ভুলের জন্য ক্ষমা চায় তখন আর কি বলার থাকে? কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আমাদের কাছে এসেছিলেন, ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তিনি এই ভুল করেননি। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শপথ অনুষ্ঠান হয়। সেখানে দেশবাসীকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠকন্যা শেখ রেহানা। ওই শপথানুষ্ঠানের মঞ্চের ডায়াসে লেখায় ভুল চিহ্নিত হয়। সেখানে ‘সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ’ লেখার বদলে লেখা হয়েছে ‘সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিবর্ষের শপথ’। অর্থাৎ ‘মুজিববর্ষ’ বানান থেকে একটি ‘ব’ বাদ গেছে। এতে শব্দটি অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে। যদিও শপথপত্রে ‘মুজিববর্ষ’ বানান সঠিকভাবে লেখা ছিল। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মত দক্ষ নেতৃত্ব ও মানবিক নেতা আর আসবে না।
পাকিস্তান বার বার বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে, কিন্তু তাকে দামিয়ে রাখতে পারেনি। বারবার মৃত্যুর মুখে থেকে ফিরে বাংলার মানুষের জন্য কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু। বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানিরা যখন কবর খুঁড়ে তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাকে যদি হত্যা করো তবে আমার লাশটা বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিও।