শামীম ওসমান আরো বলেন, আমি ‘৯৬ সালে যখন এমপি হই। তখনে এই চুনকা সড়ক করে দিই। ওই সময় আমি এলে চাচি (মমতাজ বেগম) আমাকে নিজ হাতে খাওয়াতেন। এর আগে মরহুমা মমতাজ বেগমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শামীম ওসমান। এসময় দোয়া-দরুদ পাঠ এবং মোনাজাতে শরিক হন। মমতাজ বেগমের মৃত্যুর তৃতীয় দিন মঙ্গলবার বিকেলে মাসদাইর কবরস্থানে যান ওসমান পরিবারের অন্যতম সদস্য শামিম ওসমান। কষ্টসিক্ত চোখে প্রিয় চাচীর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন কিছু সময়।
এ সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগের ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও কাঁদেন নীরবে। মাসদাইর কবরস্থানে সাংবাদিকদের শামীম ওসমান বলেন, পৌর পিতা চুনকার সহধর্মীনি আমার মায়ের মতোই। একজন মা যেভাবে স্নেহ করেন, ভালোবাসা দেন, সেই ভাবেই তিনি ভালোবাসা দিয়েছেন। আমার জানামতে, উনি আল্লাহওয়ালা মানুষ ছিলেন। একজন সন্তান হিসেবে, আমি আমার মায়ের জন্য যেভাবে দোয়া করি, একই ভাবে উনার জন্যও দোয়া করেছি। দোয়া করি আল্লাহর কাছে, আল্লাহ যাতে উনাকে বেহেশত নসিব করেন। উনার কবরের আজাব মাফ করে দেন। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, যে বয়সেই হোক না কেন, এতিম হওয়া যে কত কষ্টের সেটা আমি জানি। কারণ আমি নিজেও একজন এতিম। তাই আমি দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাদেরকে কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা দেন।
শামীম ওসমানের সাথে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো: শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান যুবলীগ নেতা এহসানুল হক নিপু প্রমুখ।