রায় ঘোষণার সময় আরজিনা বেগম ও শাহিন মল্লিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলায় অপর আসামি পালাতক কোয়জ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অনৈতিক প্রেমের সম্পর্কের জেরে ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর শাহিন মল্লিকের সহায়তায় আরজিনা বেগম তার স্বামী জামিল শেখ ও তাদের মেয়ে নুসরাত জাহানকে হত্যা করে। রাজধানীর বাড্ডার ময়নারবাগের একটি চারতলা বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন জামিল। গুলশানে এক ব্যক্তির গাড়ি চালাতেন তিনি। ঘটনার পরদিন ৩ নভেম্বর সকাল ৬টার দিকে ওই বাসার খাটের ওপর থেকে জামিল ও তার ৯ বছর বয়সী মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরজিনাকে আটক করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জামিল শেখের বাসায় সাবলেট ভাড়া নিয়ে থাকতেন শাহিন মল্লিক। তখন আরজিনার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আরজিনাকে বিয়ে করতে পাগল হয়ে ওঠেন শাহিন। এরই ধারাবাহিকতায় বন্ধু কোয়াজ আলীকে নিয়ে জামিলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। পরিকল্পনা মোতাবেক জামিলকে তরকারির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খায়িয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়। পরে আসামিরা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে জামিলকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু জামিল ছটফট করতে করতে ওঠে বসে যান। শাহিন মল্লিক তখন লাঠি দিয়ে জামিলের মাথায় আঘাত করেন। এসময় জামিলের চিৎকারে মেয়ে নুসরাত ঘুম ভেঙে দেখে তার বাবাকে মেরে ফেলা হচ্ছে। তখন নুসরাতকেও হত্যা করে আসামিরা।
জামিলের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের করপাড়া ইউনিয়নের বনপাড়া গ্রামে। নিহত জামিলের বাবার নাম মৃত বেলায়েত শেখ।