আহতরা হলেন- বীরগাঁও হাজী বাড়ির আলমগীরের ছেলে হাবিবুর রহমান (১৬), বিল্লাল মিয়ার ছেলে ইয়ামিন (১৫) ও গোপীনাথপুরের কালাগাজীর ছেলে রাইজ উদ্দিন (২৬)। আহত হওয়ার পর তাদের প্রথমে নরসিংদীর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার করেন চিকিৎসকরা।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী জালাল মিয়া প্রায়ই ককটেল তৈরি ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে থাকেন। সম্প্রতি সে তিনি একাধিকবার ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
শনিবার ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে জালালের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী জুলহাস মিয়ার খামারের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আনন্দ উৎসব করতে থাকে। এ সময় খামারের মুরগি অসুস্থ হয়ে পড়ছে ও জনমনে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে জানিয়ে ককটেল বিস্ফোরণে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন জুলহাস। এতে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার সঙ্গে তর্ক শুরু করে। কিছুক্ষণ পর তারা সেখান থেকে চলেও যায়।
রায়পুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) গোবিন্দ সরকার জানান, নিলক্ষ্যায় গণ্ডগোলের ঘটনায় একজন নিহতের খবর পেয়েছি। মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।