কাকলি আক্তার শহরের পালং এলাকার নুরুজ্জামান মাদবরের মেয়ে। তিনি শরীয়তপুর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। আজ (রোববার) তার গায়ে হলুদ ও সোমবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্র জানায়, কাকলি আক্তারকে ওই মাদরাসার সাবেক ছাত্র জাহিদুল ইসলাম প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতেন। কাকলির পরিবার তার কাছে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হলে ক্ষুব্ধ হন জাহিদুল। বৃহস্পতিবার রাতে ঘরে ঢুকে কাকলিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে আহত করেন।
তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে জাহিদুলকে আটক করে গণধোলাই দেন। খবর পেয়ে পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। অবস্থার অবনতি হলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল কাকলিকে। অবস্থার আরও অবনতি হলে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে কাকলির ভাই ফারুক মাদবর বলেন, আজ গায়ে হলুদ, কাল বোনের বিয়ে হবার কথা ছিল। এ খবর পেয়ে জাহিদুল আমার বোনকে ছুরিকাঘাত করেন। আমি আমার বোনের হত্যাকারীর বিচার চাই।
শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় তরুণীর ভাই একটি মামলা করেন। ওই মামলায় জাহিদুলকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে।