শুভ বিজয়া দশমী আজ। হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হবে প্রতিমা বিসর্জনে মধ্য দিয়ে। বুধবার (৫ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জে বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের।
নির্ধারিত সময়ে বিসর্জন সম্পন্ন করার অনুরোধ করেছেন জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। পঞ্জিকামতে, বুধবার সকাল ৭.৩৬ থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত দশমী তিথি স্থায়ী হবে। এ সময়ের মধ্যে দশমী পূজা সম্পন্ন করবেন পুরোহিতরা। পূজা শেষে দর্পণ বিসর্জন করা হবে। উপবাস থেকে অঞ্জলি প্রদান করবেন ভক্তরা।
এ বছর দেবী গজ বা হাতিতে চড়ে মর্ত্যে আসেন। দেবী কৈলাসে ফিরবেন নৌকায় করে। এর ফলে পৃথিবী শস্যে পূর্ণ হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস সনাতন ধর্মাবলম্বীদের। জানতে চাইলে পুরোহিত শ্রী মিনালকান্তী চক্রবর্তী লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, গতানুগতিক আমরা যে ৩দিন দুর্গা মায়ের পূজা করেছি, আজকেও আমরা সেভাবেই পূজা করবো। তবে আজ পূজা শেষে মাকে বিদায় দিবো।
মা দুর্গা মূলত ৫দিনের জন্য শ্বশুর বাড়ি কৈলাশ থেকে বাপের বাড়িতে আসে, তার স্বামী-সন্তান সবাইকে নিয়ে। আজ মায়ের বিদায়ের পালা, অশ্রু নয়ন সিক্তে বিদায় দিবো মাকে। আজ পূজো দিয়ে মায়ের বিসর্জন দিবো। আমরা মূলত পূজো শেষে ঘটে বসেই মায়ের দর্পন বিসর্জন দেই। তিনি আরও বলেন, বিকালে আমরা সিঁদূর খেলি, হিন্দু শাস্ত্রে সিঁদুর ললনাদের সৌভাগ্য ও দীর্ঘায়ুর প্রতিক। বিদায়ের সময় আমরা মাকে কিছু খাবার দিয়ে দেই, পথিমধ্যে ক্ষুধা নিবারণের জন।
আমরা ষষ্টী, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী আমরা নিরামিশ খাই। কিন্তু দশমীতে মায়ের পায়ে ছুয়ে যাত্রা করে মাছ খাই। প্রত্যকের ঘরে ঘরে এদিন মাছ রান্না হয়। জোরা ইলিশ, জোরা পুটিঁ মাছ মাকে উৎসর্গ করে প্রত্যকের ঘরে রান্না করে খাই। পরে আমাদের নিয়ম অনুযায়ী নদীতে আমরা নিরঞ্জন দেই। নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উত্তম সাহা বলেন, মা দুর্গা মূলত ৫দিনের জন্য শ্বশুর বাড়ি কৈলাশ থেকে বাপের বাড়িতে আসে, তার স্বামী-সন্তান সবাইকে নিয়ে। আজ মায়ের বিদায়ের পালা, মায়ের দর্পন বিসর্জনের মধ্যে দিয়েই বিদায় জানানো হবে। সকাল ৭টা ৩৬ মিনিট থেকে লগ্ন শুরু শেষ হবে সকাল ১০টায়। এরপর বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে নদীতে মায়ের প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে সমাপ্ত হবে বিজয়া দশমী।