রবিবার ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সন্ধ্যা ৭:৪৫
শিরোনামঃ
Logo সারম্বরে পালিত হল, কলকাতার ইসকনের উল্টোরথ ও ভক্তদের উল্লাস। Logo ‘কোথাও কেউ নেই’র মতো কাজ নাটক এখন আর হয় না।-তৌকীর আহমেদ Logo অভিযান চালিয়ে মাদক মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মা ও ছেলেকে গ্রেফতার Logo গাইবান্ধায় যৌথ বাহিনীর অভিযান বিপুল পরিমান অস্ত্রসহ ৪জন গ্রেফতার Logo নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাও হাইওয়ে পুলিশের মধ্যে ঠেলাঠেলি ঘণ্টা পর ঘন্টা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ রাস্তায়। Logo সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা ইন্তেকাল করেন Logo প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ কবি ও সংগঠক বাপ্পি সাহা’র শুভ জন্মদিন Logo দেশের ৮ জেলায়  ঝড়-বৃষ্টির আভাস-আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সতর্কবার্তা নদীবন্দর কে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত Logo গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ও একজন আহত Logo আড়াইহাজার মোটরসাইকেল কেনার জন্য টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছেলে

সন্তান বিক্রির টাকায় চলছে স্বামীর চিকিৎসা

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর, ৯, ২০২৪, ১১:০১ অপরাহ্ণ
  • ৯৫ ০৯ বার দেখা হয়েছে

 

 

সন্তান বিক্রির টাকায় চলছে স্বামীর চিকিৎসা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দিনাজপুরে ৪ আগস্ট অনেকেই আহত হন। তাদের একজন দিনাজপুর শহরের কাঁটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ।

আহত হওয়ার পরপরই পাল্টে যায় তার জীবনের দৃশ্যপট। সন্তান বিক্রির টাকায় চলছে তার চিকিৎসা।

 

৪ আগস্ট দুপুর। সন্তানসম্ভবা স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আব্দুর রশিদ যান দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে। স্ত্রীকে রেখে নিচে নামলে চলমান সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তার পা, পেট, নাভি ও পুরুষাঙ্গে গুলি লাগে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি ভয়ে বাসায় চলে যান।

পেটের গুলিবিদ্ধ স্থানে পচন ধরলে পেশায় দিনমজুর রশিদ ৮ আগস্ট দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। রাতেই হয় অস্ত্রোপচার, এরপর আইসিইউতে। পরদিন বাড়িতেই ফুটফুটে এক কন্যসন্তানের জন্ম দেন স্ত্রী রোকেয়া বেগম।

এদিকে হাসপাতালে রশিদের চিকিৎসার সামগ্রিক খরচ আসে ৩৬ হাজার টাকা। এই অর্থ তার পরিবারের জন্য যে বোঝা! কেননা তার মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নেই। থাকেন অন্যের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে। উপায় না পেয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা খরচ পরিশোধ করতে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে গোপনে নিজের তিনদিনের শিশুকে অন্যের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন রশিদের স্ত্রী রোকেয়া।

রশিদের রোকেয়া বেগম বলেন, ঘটনার দিন আমাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর আমার স্বামীর শরীরে গুলি লাগে। পরে ওই হাসপাতালে আমার স্বামীর চিকিৎসা হয়। চিকিৎসা শেষে স্বামীসহ আমি বাড়িতে চলে আসি। এরপর ৮ তারিখে আমার স্বামীর অবস্থা খারাপ হলে তাকে মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে অপারেশন হয় আর পরদিন আমার মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়।

তিনি বলেন, আমার আরেক সন্তান রয়েছে, সেও মেয়ে। আমার স্বামীর অপারেশনের জন্য বিভিন্ন ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনতে হয়। তিন দিনে হাসপাতাল ও আমাদের অন্যান্য খরচের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৬ হাজার টাকা। এজন্য আমি ২৫ হাজার টাকায় আমার তিন দিনের সন্তানকে এক দম্পতির হাতে তুলে দিই। চিকিৎসক জানিয়েছেন, আমার স্বামীর আরও অপারেশন করতে হবে। কিন্তু তিনি পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবেন না।

গুলিবিদ্ধ আহত আব্দুর রশিদ বলেন, ঘটনার পর থেকে আমি তো কাজ করতে পারিনি। আমার বাড়ি পঞ্চগড়ের ভজনপুরে। এখানে অন্যের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আমি, আমার স্ত্রী ও সন্তানসহ থাকি। আমি যে গুলিবিদ্ধ হবো, তা চিন্তাও করিনি। আমার কোনো অপরাধ ছিল না, স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর আমার শরীরে গুলি লাগে।

তিনি বলেন, প্রতিনিয়তই আমাকে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। সেখান থেকে যেসব ওষুধ পাচ্ছি, সেগুলো ছাড়াও বাইরের দোকান থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অনেকে সহযোগিতা করছেন। কিন্তু আমার আরও অপারেশন করতে হবে। আমার তো বাঁচতে ইচ্ছে করে। আমি আমার পরিবারের জন্য বাঁচতে চাই।

স্বামীর চিকিৎসার জন্য স্ত্রীর সন্তান বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার বিকেলে আব্দুর রশিদের বাড়িতে যান দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল রায়হান। তিনি বলেন, আমরা বাচ্চাটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। শিগগিরই বাচ্চাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell