বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৪।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ১০ জুন সন্ধ্যায় গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে রাতে আর সাভারের রাজাশন এলাকার ভাড়া বাসায় ফেরেননি চালক শহিদুল ইসলাম শহিদ। স্ত্রী লাইলী বেগম স্বামী শহিদের মোবাইলে কল করলে, তা বন্ধ পান। এরপর ১১ জুন সকালে আনন্দপুর সিটিলেনের একটি খালি প্লটে শহিদের মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী লাইলী বেগম বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ডাকাতিসহ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-৪।
র্যাব আরও জানায়, এ মামলায় আমীর হোসেন বাবু নামে গ্রেফতার এক আসামি শহিদ হত্যাকাণ্ডে হযরত আলীর জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাতদল নেতা ও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হযরত আলী আশুলিয়ার বাসাইদ এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানা যায়। পরে আজ (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার মাজহারুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামি অটোরিকশা চালক শহিদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে একজন পেশাদার খুনি ও সক্রিয় ডাকাত দলের সর্দার। বিভিন্ন ধরণের মারাত্মক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হযরত আলী। সাভারের আনন্দপুর সিটিলেন এলাকায় দিনে-দুপুরে পিস্তল ঠেকিয়ে ১৬ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত সে। তার নামে সাভার মডেল থানায় হত্যা, অস্ত্র ও ডাকাতিসহ চারটি মামলা রয়েছে। যার তিনটি মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে এবং অন্যটির তদন্ত প্রক্রিয়াধীন।
গ্রেফতার আসামি হযরত আলীকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।