রোববার (২৯ আগস্ট) গনমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। পদত্যাগ করেছেন যারা তারা হলেন— খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, সৈয়দ মশিউর রহমান শাহিন, আবুল বাশার মো. সিদ্দিক, মো. সেলিম মুন্সি, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জয়নাল আবেদীন, রুহুল আমিন প্রধান. আনিসুজ্জামান অনু, মঞ্জুরুল ইসলাম মানিক, জাহাঙ্গীর আলম (মেম্বার), মাকেলেছুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মোস্তফা হামিদ বাপ্পি, হাসান আহমেদ তালুকদার মাসুম।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পদত্যাগ করার বহুবিধ কারণ থাকলেও তার মধ্যে ৫টি কারণ আমরা উপস্থাপন করছি।
১। এক সময় ফ্রেন্ডস সার্কেল ফতুল্লা প্রথম শ্রেনীর সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও বিগত ২ বছর যাবত সংগঠনটি তার সুনাম ও স্বকিয়তা হারাচ্ছিলো। সেই সাথে বন্ধুরা হারাচ্ছিলো তাদের আত্মমর্যাদাবোধ। বিষয়টি বার বার সভাপতির দৃষ্টিতে আনলেও এর কোনো সমাধান হয়নি।
২। গত ডিসেম্বর ২০২০ সালে সংগঠনটির কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। বিষয়টি সভাপতির নজরে আনলে কার্যত নতুন কমিটি করার বা কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি করার কোনো প্রকার সাংবিধানিক পদক্ষেপ নেননি। তাই আমরা মনে করি বর্তমানে ফ্রেন্ডস সার্কেল ফতুল্লা সম্পূর্ণ অনিয়ম ও অসাংবিধানিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
৩। গত ১২ মে ফ্রেন্ডস সার্কেল ফতুল্লার মাধ্যেমে দুঃস্থদের মাঝে যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়, তা কোনো প্রকার সভা বা আলাচেনার মাধ্যেমে হয়নি। সেই সাথে তথাকথিত সুলতান আহম্মেদ ফাউন্ডেশন নামে একটি সমালোচিত সংগঠনের সাথে যৌথভাবে এই ত্রাণ দেয়া হয়, যা সংগঠনের সম্মানকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। এই কার্যক্রমটি কোনো সভা ছাড়াই এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪। গত ২৮ মে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালিন প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ গিয়াস উদ্দিন এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী সংগঠনের পক্ষ থেকে পালন করার কোনো প্রকার উদ্যোগ নেয়া হয়নি, যা ছিলো অত্যন্ত দুঃখজনক।
সে দিন মুসলিম নগরের একটি এতিম খানায় এতিম শিশুদের মাঝে ৫০ প্যাকেট বিরানী বিতরণ করে যা ফ্রেন্ডস সার্কেল ফতুল্লার নামে প্রচার করা হয়।
তা ছিলো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের একক সিদ্ধান্ত। আলহাজ গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা আমাদের সংগঠনের অফিস অথবা তার কার্যক্রম এলাকা সস্তাপুর, কাঠেরপুল, সেহাচর এলাকায় অনেক গরীব ও এতিম শিশু আছে তাদের রেখে হুট করে একক সিদ্ধান্তে মুসলিম নগর কেন?
বিষয়টি আমাদেরসহ এলাকার অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে। তা ছাড়া সংগঠনের অফিস কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদের আয়াজেন করা হয়নি। বিষয়টি সর্বমহলে সমালোচিত হয়েছে।
৫। গত ১ লা জুন থেকে ফ্রেন্ডস সার্কেল ফতুল্লার সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলামের নামে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টল ও পত্র পত্রিকায় তার বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ সম্পর্কে অনেক আপত্তিকর ধারাবাহিক সংবাদ পরিবেশন হলে সংগঠনের সম্মানিত সদস্যগণ বিব্রত অবস্থায় পড়ে।
বিষয়টি সভাপতির নজরে এনে সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলামের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললে এখনো পর্যন্ত তার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং তাকে নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। সদস্যগণ মনে করে বিষয়টি সম্পূর্ণ সংগঠন বিরোধী ও সদস্যদের সম্মানকে অত্যন্ত হেয় প্রতিপন্ন করে।
বিষয়গুলাে নিয়ে সকল সদস্য মিলে সমাধান খুঁজে আবার সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায় কি না, এই চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আমরা ফ্রেন্ডস সার্কেল ফতুল্লা থেকে সরে যাওয়ার সিন্ধান্ত গ্রহন করি।