নগর সংবাদ।।ভূমিকম্পে চট্টগ্রাম নগরে দুটি ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। নগরের চকবাজারের উর্দু গলি ও খাজা সড়কের সাবানঘাটা এলাকায় ভবন দুটি হেলে পড়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারাও খবরটি পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন বলে জানান তাঁরা। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আজ শুক্রবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে ভূকম্পন অনুভূত হয়।
রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার-ভারত সীমান্ত। ভূমিকম্পে বিভিন্ন স্থানে ভবন কেঁপে ওঠে। এতে অনেকে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালের ভূমিকম্পে চট্টগ্রাম নগরের উর্দু গলিতে ‘রহমান ভিলা’ নামে একটি চারতলা ভবন পাশের পাঁচতলা ভবনে হেলে পড়েছে। আর খাজা সড়কের সাবানঘাটা এলাকায় চারতলা ভবন হেলে পড়েছে পাশের চারতলা ভবনের ওপর। নগরের উর্দু গলি এলাকার খদিজা ম্যানশনের অন্যতম অংশীদার ফরিদ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ভূমিকম্পে পাশের রহমান ভিলা তাঁদের ভবনের ওপর হেলে পড়েছে। এতে তাঁরা আতঙ্কে আছেন।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. বাহার উদ্দিন বলেন, নগরের বহদ্দারহাটের খাজা সড়কের সাবানঘাটা এলাকায় হালিমা ভবন নামে একটি চারতলা ভবন পাশের চারতলা ভবনের ওপর হেলে পড়ার খবর পেয়েছেন তাঁরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, একটি ভবন আরেকটি ভবনের ভেতরে দু-তিন ইঞ্চি ঢুকে গেছে। তবে ভবনমালিকদের দাবি, আগে থেকেই এ রকম ছিল। মো. বাহার উদ্দিন জানান, একই পরিবারের চার ভাই ভবন দুটির মালিক। একটি ভবনে এক ভাই থাকেন। অন্যটিতে থাকেন তিন ভাই।
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, নগরের দুটি এলাকায় ভবন হেলে পড়ার খবর পেয়েছেন তাঁরা। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলতে পারবেন, ভবনগুলো আসলেই হেলে পড়েছে কি না? এর আগে ২০১৬ সালের ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে সারা দেশে ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯৯। ভূমিকম্পের পর নগরের বিভিন্ন জায়গায় নয়টি ভবন হেলে পড়েছিল।