নগর সংবাদ।। সাংবাদিকদের ওপর হামলার পাঁচ দিন হলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। সন্ত্রাসীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওই ঘটনার হামলাকারী সন্ত্রাসী আজমান ওরফে আজমত ওরফে আজম, মো. হোসেন , রহমান ও নূর হোসেনসহ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে মিরপুর সম্মিলিত সাংবাদিক জোট ও সাংবাদিক নেতারা। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধনে মামলা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক নেতা ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার লায়েকুজ্জামান লায়েক বলেন, আমরা সংবাদকর্মী। সংবাদ সংগ্রহ করতে যেকোনো জায়গায় যাওয়ার অধিকার রয়েছে। সরকারি জায়গা দখল, মাদ্রাসার জায়গা দখল করছে এসব সন্ত্রাসীরা আর এদের সাপোর্ট করছে পল্লবী থানার ওসি। তার সহোযগিতা না থাকলে কেন তিনি মামলা নেবেন না। আমরা মিরপুরের প্রতিটি থানার সামনে মানববন্ধন করবো। পুলিশ মানুষের বন্ধু না শত্রু তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। মিরপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমন্বয়ক ও দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র রিপোর্টার আজিজুল হাকিম বলেন, অনেক সহ্য করেছি আমরা, এখন সময় দেওয়ার পালা।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি মামলা না নেওয়া হয় তাহলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে তিনি হুঁসিয়ারি দেন। মানববন্ধনে কলকাতা টিভি রিপোর্টার প্রান্ত পারভেজের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি চঞ্চল মাহমুদ, সাপ্তাহিক নতুনবার্তার নির্বাহী সম্পাদক মাহাতার ফারাজী, সাপ্তাহিক দ্য এক্সাম্পল সম্পাদক মিজানুর রহমান মোল্লা, দৈনিক মাতৃ জগত পত্রিকার সম্পাদক আনিসুর রহমান রহমান, অনলাইন পোর্টাল জাগো কণ্ঠ সম্পাদক মো. আলী মুবিন, আমিরুজ্জামান আমির ও আমিরুল ইসলাম রিপন। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে এগারোটায় সংবাদ পেয়ে রাজধানীর পল্লবী থানা পলাশ নগরের বেলতলা ১০০ দাগ এলাকায় একটি মাদরাসা দখলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চার সাংবাদিক হামলার শিকার হন। আহতরা হলেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মিরাজ মাহবুব ইফতি, সাপ্তাহিক নতুনবার্তার সম্পাদক ইউসুফ আহমেদ, দৈনিক বাংলাদেশের আলো সিনিয়র রিপোর্টার জহিরুল ইসলাম ও অনলাইন পোর্টাল জাগো কণ্ঠের ক্যামেরা পারসন মো. আলী। এই ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি অভিযোগ হলেও এখন পর্যন্ত মামলা নেয়নি পুলিশ।