রোববার (১৮ জুন) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
তিনি জানান, প্রতারক ইমন সরদারের বাড়ি রাজবাড়ী। তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহিঃগমন টার্মিনালে অবস্থান করছিলেন। এরপর দুবাই প্রবাসী দুই যাত্রী মো. রিয়াদ ও ওয়ারেজ করুনি বাচ্চুর পাসপোর্টে ডলার এনডোর্সমেন্ট করছিলেন। এ সময় বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা সদস্যদের বিষয়টি সন্দেহ হয়। কারণ প্রতারক ইমন সরদারের পরনে পুলিশের টি-শার্ট, কাঁধে পুলিশের একটি ব্যাগ রয়েছে।
এমনকি তার চলাফেরাতেও সন্দেহজনক হলে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এপিবিএন অফিসে আনা হয়।
মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরও জানান, প্রতারক ইমন সরদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি প্রতারণার বিষয়টি শিকার করেন। এ সময় প্রতারক ইমন সরদারের কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা, ডলার এনডোর্সমেন্টের একটি সিল। যেখানে লেখা ভাই ভাই মানি চেঞ্জার লিমিটেড। একটি পুলিশের কাঁধ ব্যাগ এবং মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে যাত্রীরা জানান, এয়ার এরাবিয়া বিমানযোগে যাত্রী মো. রিয়াদ ও ওয়ারেজ করুনি বাচ্চুর বিকেলের ফ্লাইটে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের পাসপোর্টে পাঁচ’শ ডলারের এনডোর্সমেন্টের ভুয়া সিল দেওয়া হলেও প্রতারক তাদের ৫শ ডলার দেয়নি। যার কারণে তাদের ফ্লাইটও বাতিল হয় এবং তারা দুবাই যেতে পারেননি।
প্রতারক ইমন সরদারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এপিবিএনের এই কর্মকর্তা।